পাকিস্তানের নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারাআজ বলেছেন যে তালিবানের সঙ্গে প্রায় ১৭ ঘন্টার লড়াই শেষে সৈন্যরা নৌ ঘাটি পুনর্দখল করেছে।
রোববার রাতে আচমকা আক্রমণে জঙ্গিরা করাচির সামরিক ঘাটিতে প্রবেশে করে ১২ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হত্যা করে , আরো ১৪ জন সামরিক ব্যক্তিকে আহত করে এবং নৌ বাহিনীর একটি বিমান ধ্বংস করে।
বিদ্রোহীদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিক ভাবে পরিস্কার জানা যায়নি। জংগিদের সঙ্গে লড়বার জন্যে বহু কমান্ডো ও নিয়ো্গ করা হয়।
তালিবানের একজন মুখপাত্র বলেন আল ক্বায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের মৃতুর প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তাকে এ মাসের আরও আগের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের
পুলিশ বলছে যে ১৫ থেকে ২০ জন জঙ্গি , বন্দুক ও গ্রেনেডসহ মেহরানের নৌবাহিনীর বিমান ক্ষেত্রে আক্রমণ চালায় । কিছুক্ষণ পরই গোটা এলাকা আগুন ও ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
আরেকজন মুখপাত্র বলেন যে অন্তত পক্ষে একটি নৌ নজরদারি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে। এই বিমানটি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ঐ হামলার নিন্দে করে একে সন্ত্রাসের ভীরু কর্মকান্ড বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে এর ফলে পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে সরে আসবে না।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক ঘটনার পর পরই সেখানে ক্ষয় ক্ষতির অবস্থা দেখার জন্যে ছুটে যান এবং বলেন যে এর আগেই তালিবান ও আল ক্বায়দা ঘোষণা করেছিল যে তারা পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আঘাত হানবে এবং এই প্রথম তারা সেটা করলো। তারা বলছে পাকিস্তান যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। পাকিস্তান অসুবিধায় রয়েছে , পাকিস্তান ঘটনার শিকার ।
অন্যদিকে মেহরান নৌ ঘাটির কাছেই একজন স্থানীয় বাশিন্দা আদনান আফসার বলেন চারিদিকে এত নিরাপত্তা সত্বেও কি ভাবে এরা সেখানে প্রবেশ করলো। তার মানে হচ্ছে , নিরাপত্তা ব্যবস্থা অকার্যকর এবং এটি নিরাপত্তার ব্যর্থতা।