সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ফের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইর সূচক কমেছে ২২৭ পয়েন্ট। একই সঙ্গে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৪৯টির দাম কমেছে। এদিকে পুঁজিবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
গতকাল বেলা দুইটার দিকে ডিএসইর সূচক ২০০ পয়েন্টের বেশি কমে গেলে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন। এতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বেলা পৌনে ৪টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে ও বিভিন্ন সেস্নাগান দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় বিনিয়োগকারীরা দরপতন ঠেকাতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের দুটি সংগঠন মানববন্ধন ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করে। বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ শেয়ার ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ডিএসইর সামনে মানববন্ধন শুরু করে। তারা পুঁজিবাজারকে কুচক্রীমহলের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে। এছাড়া পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদ পূর্বঘোষিত প্রতীকী অনশন দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু করে। এদিকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করার দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার ডিএসই-এর সামনে প্রতীকী অনশন করবে ঐক্যপরিষদ। আগামীকালও তারা একই কর্মসূচি গ্রহণ করবে।