প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করা বাংলাদেশ, দিন শেষে ক্যারিবীয়দের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে ১৪৪ রানের বিনিময়ে। এখনো ২০৬ রানে পিছিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ উইকেটে ২৫৫ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচ শুরু হবার প্রতীক্ষায় ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে যাবার পর চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই পেসার ফিদেল এডওয়াডর্সের শিকার হয়ে খালি হাতে ফিরেছেন মুশফিক। খালি হাত বলা হচ্ছে কারন ৬৮ রানে দিন শুরু করা মুশফিক থেমেছেন ঐ রানেই। এরপর নাইমের সঙ্গী হন প্রথম দিনে ফিদেল এডওয়াডর্সের বলে মুখে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়া শাহরিয়ার নাফিস। ২১ রানে নিয়ে খেলতে নেমে আরও ১১ রান যোগ করে নাফীস শিকার হয়েছেন ঐ এডওয়াডর্সের বলে। তাই হয়ত এডওয়াডর্সের সাথে হিসাব নিকাশটা বাকী রয়ে গেল নাফীসের। তার বিদায়ের পর নাইমের সাথে জুটি বাঁেধন অভিষিক্ত নাসির হোসেন। জুটিটা দারুন জমিয়ে তুলেছিলেন দু’জনে।
টেস্ট ব্যাটসম্যানের সব গ্রামার নাইম ফলো করলেও, ওয়ানডে স্ট্যাইলে ব্যাট চালান নাসির। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটাই কাল হল নাসিরের। দুর্দান্ত খেলতে থাকা নাসির ক্যারিবীয় স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজঘরের টিকিট পান। ৬টি চারে ৪৭ বলে ৩৪ রান করেন নাসির। ফলে বাংলাদেশ পরিণত হয় ৭ উইকেটে ৩১৭ রানে। ঐ রানেই বাংলাদেশকে অষ্টম উইকেট হারানোর কষ্ট দেন বিশু। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের আরেক অভিষেক খেলোয়াড় ইলিয়াস সানিকে ফিরতে হয় শূন্য রানে। কিন্তু অন্যপ্রান্তে যে উইকেটে থিতু গেতেছেন নাইম। শাহাদাত রাজীবকে নিয়ে দলকে আরও ২৮ রান এনে দেন নাইম। দলীয় ৩৪৫ রানে রাজীব ব্যক্তিগত ৯ রানে ফিরে গেলেও, শেষ ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেনকে নিয়ে দলকে সাড়ে তিনশত রানের মাইলফলক স্পর্শ করান নাইম। আর এতেই সন্তুষ্ট হয়ে ইনিংস ঘোষনা করেন অধিনায়ক মুশফিুকুর রহিম। এই নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থবারের মত ইনিংস ঘোষণা করল বাংলাদেশ। ১৩১ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন নাইম ইমলাম। তার সঙ্গী রুবেলের সংগ্রহ ছিল ৫ রান।
এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লেন্ডন সিমন্সকে ৭ রানে ফিরিয়েছেন পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব। এরপর ম্যাচের বাকী সময়ের পুরোটাই নিজের করে নেন বাংলাদেশের অভিষেক খেলোয়াড় ইলিয়াস সানি। তার ঘূর্ণিতে ক্যারিবীয়রা হারিয়েছে দলের সেরা চার ব্যাটসম্যানকে। ক্রেইগ ব্রাথওয়েত ৪৪, ক্রিক এডওয়াডর্স ১৭, ড্যারেন ব্রাভো ২ ও শিবনারায়ন চন্দরপল ৪৯ রানে সানির বলে ফিরে গেছেন। দিনের শেষভাগে চন্দরপলকে ফিরিয়ে দিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনে অলৌকিক কিছু ঘটানোর প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন ৫৬ রানে ৪ উইকেট নেয়া ইলিয়াস সানি। যেহেতু খেলাটা ক্রিকেট তাই অলৌকিক কিছু ঘটতেই পারে। আর তা নাহলে নিশ্চিত ড্র’র হবে চট্রগ্রাম টেস্ট।