ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অবশেষে তিস্তা ও তিনবিঘা নিয়ে মুখ খুললেন। শনিবার বলেছেন, কিছু লোক তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, তিনবিঘা করিডোর পশ্চিমবঙ্গের নয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেছি। আশা করি ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
নয়া দিল্লিতে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের বৈঠকের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি না হওয়া নিয়ে প্রবল আলোচনার দেড় মাসের মাথায় এ নিয়ে কথা বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা তিস্তা প্রসঙ্গে একদম চুপচাপ ছিলেন। দেড় মাসের মাথায় শনিবার এ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে রাজি হলেন।
তিনবিঘা করিডোর বাংলাদেশের জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, সে বিষয়ে তার কোনো ‘সমস্যা’ নেই বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, তিনবিঘা করিডোর নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের (পশ্চিমবঙ্গের) কোনো ব্যাপার নেই। তিনবিঘা বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। এটা বাংলাদেশ ও ইনডিয়া সরকারের ব্যাপার। সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনবিঘা বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে তিনি বিরক্ত কি না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের এমনিতেই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং তিনবিঘা ও তিস্তার মতো ইস্যু নিয়ে পার্থক্য তৈরির কোনো সুযোগ নেই।
মমতা বলেন, তারা আমাদের ভাইবোন। তাদের উচিত সামনে অগ্রসর হওয়া ও মূলধারার সঙ্গে এক হয়ে যাওয়া। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি আছি।
গত ৬-৭ সেপ্টেম্বরের ওই সফরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া বিষয়ে দুদেশের মধ্যে একটি সম্মতিপত্র বিনিময় হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি । সফরে মনমোহনের সঙ্গে মমতার বাংলা দেশে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি।