দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিত নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তার অবসান হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ৷ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত রোববার পদ্মা সেতু নিয়ে সচিবালয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন৷
তিনিও আশা করেন শিগগিরই বিশ্বব্যাংকের অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে৷ বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ মোটামুটি একটা সমাধানে পৌঁছেছে৷ তিনি বিষয়টি শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীকে জানাবেন৷ তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তিনি বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ শিগগিরই লিখিত ব্যাখা পাঠানো হবে৷ তিনি আশা করেন এরপরই সমস্যার সমাধান হবে৷ তিনি বলেন অর্থায়ন স্থগিতে বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত সাময়িক৷
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি জানান, পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা৷ তিনি আশা করেন বিশ্বব্যাংক শিগগিরই অর্থ ছাড় করবে৷
পদ্মা সেতু নির্মানে খরচ ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার৷ বিশ্বব্যাংক এই সেতু প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে ১২০কোটি মার্কিন ডলার দেয়ার চুক্তি করেছে৷ এছাড়া এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং আইডিবি দেবে ১৪ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা৷ ঋণ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পিছটানের পর অন্য দাতাদের প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনো জানা যায়নি৷