সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিরসনের লক্ষ্যে মহাত্মা গান্ধী ১৯৪৭ সালের ২৯ জানুয়ারী নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ গ্রামে আসেন।

তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত গান্ধী আশ্রমে, “এসো শান্তির সন্ধানে এগিয়ে চলি, এসো মানুষের মুক্তির কথা বলি’’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বসেছে দক্ষিণ এশিয় যুব শান্তি ক্যাম্প। গত রোববার ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মোকাবেলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি সব সময় অনুসরনীয় হয়ে থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গান্ধী আশ্রম বোর্ড অব ট্রাস্টের সভাপতি বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা। স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রাস্টের সচিব ঝর্ণা ধারা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের (সুপ্র) জাতীয় কমিটির সভাপতি আবদুল আউয়াল ও সোনাইমুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আ ফ ম বাবু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী জীতেন্দ্র লাল চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রজিত মিত্তার, ভারতের গান্ধী পিস ফাউণ্ডেশনের পরিচালক এফ এন শভ্যা রাও ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক সিরাজুল হক। ছয় দিনব্যাপি দক্ষিণ এশিয় এই যুব শান্তি ক্যাম্পে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের প্রায় ২০০ জন যুব প্রতিনিধি।