পদ্মা সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা সেটা সাময়িক। শীঘ্রই সবরকম জটিলতা নিরসন করে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে এবং এতে বিকল্প কোন অর্থায়নের প্রয়োজন হবে না। গতকাল জাতীয় সংসদে পদ্মা সেতু বিষয়ে প্রশ্নোত্তরপর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
সংসদ সদস্য পদ্মা সেতু বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মাওয়া-জাজিরা অবস্থানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে পদ্মা সেতুর বিস্তারিত ডিজাইন প্রণয়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং সব উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করে যথাসময়ে শেষ করতে এসিলারেটেড প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে মূল সেতুর ঠিকাদার নিয়োগে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রকিউরমেন্ট বিশেষজ্ঞ কর্তৃক বিশ্বব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী ডিজাইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন শেষ করে গত বছরের ১৮ জুলাই বিশ্বব্যাংকের সম্মতির জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর প্রি-কোয়ালিফিকেশন শুরুর সুপারিশ করে। সে অনুযায়ী পুনরায় প্রি-কোয়ালিফিকেশন টেন্ডার আহ্বান করা হলেও প্রি-কোয়ালিফিকেশন মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর এ বছরের ১ জুলাই বিশ্বব্যাংক সম্মতি দিয়েছে। তবে টেন্ডার ডকুমেন্টের ওপর এখনো সম্মতি পাওয়া যায়নি। তিনি উল্লেখ করেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের বর্তমান জঠিলতা সাময়িক। এটি নিরসনের উদ্যোগ চলমান রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিকল্প কোনো অর্থায়নের প্রয়োজন হবে না।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন স্থগিত করায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, সরকার এ প্রকল্পে বিকল্প অর্থায়নের উৎস খুঁজছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা বিশ্বব্যাংকের।