শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেসরকারী নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিৰার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার/টিফিনের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোত।বেক শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার এ বিষয়ে শিৰা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী স্বাৰরিত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। তবে এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে স্কুল পরিচালনা কমিটি, স্কুল ও সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের মাধ্যমে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, গত ২৬ জুল।ই অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবার/টিফিনের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্তমানে প্রাথমিক পর্য।য়ে দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ইসি সহায়তাপুষ্ট স্কুল ফিডিং প্রকল্প, দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচী চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচী বাসত্মবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক সত্মরে শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়া হ্রাসের সফলতা লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে এ ধরনের কোন কর্মসূচী চালু নেই। মাধ্যমিক সত্মরে অনুরূপ কর্মসূচী গ্রহণ করা হলে একদিকে যেমন ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব হবে অপরদিকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পুষ্টিমান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা হবে গুরম্নত্বপূর্ণ। পরিপত্রে আরও উলেস্নখ করা হয়েছে, সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে সরকারের একার পক্ষে সারাদেশে এ মুহূর্তে এ ধরনের কর্মসূচী চালু ও বাসত্মবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে এলাকার ধনী, বিত্তবান এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে বেসরকারী নিম্ন মাধ্যমিক/মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার/টিফিন সরবরাহ করা হলে মাধ্যমিক সত্মরে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ এবং ভর্তির হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব। বলা হয়, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুলগুলোতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে এ সকল ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে স্কুলগুলোতে খাবার/টিফিনের ব্যবস্থা করতে পারে।