পরিবেশবাদীদের আপত্তি সত্ত্বেও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি বৃহৎ মেট্রো রেল প্রকল্পের প্রধান রুটটি জাতীয় সংসদ ভবনের পাশ দিয়েই যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মেট্রো রেলের রুট নির্ধারণ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পরস্পর বিরোধী অবস্থান নেয়ায় এই প্রকল্পটির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল।
প্রায় দুশো কোটি ডলার বিনিয়োগে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ সামনের বছর শুরু হওয়ার কথা। ঢাকার উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত প্রধান রুটটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৬ কিলোমিটার। নতুন এই রুটের বিষয়টি এরই মধ্যে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকাকে জানানো হয়েছে।
বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে নতুন এ রুটের পক্ষেই যুক্তি তুলে ধরা হয়। বিমান বাহিনী বলছে পুরাতন এ বিমানবন্দরটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দেশি-বিদেশী বিমান পরিচালনায় সুবিধা দেয়। এছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে এই বিমানবন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব আছে বলে বিমান বাহিনী যুক্তি তুলে ধরেছে। কিন্তু পরিবেশবাদীরা এ যুক্তি মানছেন না।
স্থপতি এবং নগর বিশেষজ্ঞ মোবাশ্বের হোসেন বলছেন সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে মেট্রোরেলের রুট হলে সেটি সংসদ ভবনের মূল নকশার ক্ষতি করবে। তিনি বলেন “ তেজঁগাও বিমান বন্দরটি এরশাদ সরকারের সময় পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছিল। তারপর এর আশপাশে অনেক বহুতল ভবন হয়েছে। তাহলে এখন এত আপত্তি কেন?” কারন নগর বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবাদীরা বলছেন সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে এই রুট নির্মানের চেষ্টা হলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের বাস্তবায়ন আটকে যেতে পারে।
নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই মেট্রোরেল বাস্তবায়ন হলে প্রতি ঘন্টায় ঢাকা শহরের একপাশ থেকে আরেক পাশে পঞ্চাশ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। তাছাড়া মানুষের যাতায়ত খরচও কমবে বলে মনে করেন তারা।