পাঞ্জাবের গভর্ণর সালমান তাসিরকে হত্যার দায়ে পাকিস্তানের একটি আদালত এক পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।সালমান তাসির পাকিস্তানের ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা বিষয়ক আইনের বিরোধিতা করায় তার নিজ দেহরক্ষী মালিক মুমতাজ আলী কাদরি তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
মিস্টার কাদরি এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে নিয়ে বলেন, গভর্ণর সালমান তাসিরকে হত্যা করতে পেরে একজন মুসলিম হিসেবে তিনি গর্বিত।এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাকিস্তানের জনমত ছিল প্রচন্ডভাবে বিভক্ত, এবং অনেকে মিস্টার কাদরি বীরোচিত কাজ করেছেন বলে তার প্রশংসা করেন।তার এক সমর্থক আজ আদালতের দেয়া রায়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘আদালতের এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। ব্লাসফেমি আইন রক্ষায় প্রতিটি মুসলিম তার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করবে।‘রাওয়ালপিন্ডিতে সন্ত্রাস দমন আদালতে মি. কাদরির বিচার অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। ব্লাসফেমি আইন রক্ষায় প্রতিটি মুসলিম তার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করবেরায় ঘোষণা করার সময় তিনি অত্যন্ত শান্তভাবে তার উকিলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।তখন তাকে অবিচলিত দেখায়।আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং ফাঁসির মাধ্যমে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে।এই রায়ের পরপরই লোকজন কারাগারের বাইরে জড়ো হতে শুরু করে।তবে এই সাজাই চুড়ান্ত নয়।কারণ এই রায়ের বিরুদ্ধে মি. কাদরির আপীল করার সুযোগ রয়েছে।
মি. কাদরির বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেননি। বরং তিনি বলেছেন যে, একজন মুসলিম হিসেবে গভর্নর তাসিরকে হত্যা করতে পেরে তিনি গর্বিত।কারণ এই হত্যা বেআইনি নয়, তার ভাষায় মি. তাসির নবী মোহাম্মদকে অপমান করেছেন।
গভর্নর সালমান তাসিরকে হত্যা করার ঘটনায় পাকিস্তানের জনগণ বিভক্ত হয়ে পড়ে। অনেকে হত্যাকারীর প্রশংসা করেছেন।মি. তাসির ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইন বা ব্লাসফেমি ল‘য়ের সমালোচনা করার পর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তারপরই সরকার এই আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটে।পাকিস্তানে খুব কম লোকই প্রকাশ্যে এই আইনের সমালোচনা করে থাকেন।