দেশের পুর্বাঞ্চলে অবস্থিত লিবিয়ার বিদ্রোহীরা , পশ্চিমি বিমান অভিযানের সহায়তায় পূর্ভাঞ্চলের আরো দুটি শহর আবার দখল করে নিয়েছে এবং এর ফলে সরকারী সৈন্যরা দ্রুত পিছিয়ে পড়দে বাধ্য হয়েছে। বিদ্রোহীরা আরো পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্রোহীরা আর আল আগিলা শহরে পৌছে যায় এবং তার পর পুর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তেল বন্দর রাস লানুফের দিকে এগিয়ে যায়। গতকালই তারা আজদাবিয়া শহরের কাছে পুর্বাঞ্চলের আরেকটি তেল বন্দর নগরী ব্রেগার নিযন্ত্রণ আবার গ্রহণ করে। এক সপ্তার কিছু আগে এই দুটি এলাকাই তারা মোয়াম্মার গাদ্দাফির সৈন্যদের কাছে খুইয়েছিল।
আজ পশ্চিমি বার্তা সংস্থাকে কোন কোন বিদ্রোহী বলেছে যে তারা রাস লানুফ পুনর্দখল করে নিয়েছে এবং পশ্চিমের বিন জাওয়াদে পৌছেছে।
এ দিকে ফরাসী সামরিক বাহিনী বলছে যে তাদের জঙ্গি বিমানগুলি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত মিসরাটায় লিবিয়া সরকারের ৫টি বিমান এবং দুটি হেলিকপ্টার নষ্ট করে দিয়েছে। জোট বাহিনীর জেট বিমান মি গাদ্দাডির শক্ত ঘাটিঁ ত্রিপোলির কাছে ও আক্রমণ চালায়।
প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় সদস্যরা লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হবার পক্ষে বলছেন যে যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সঙ্কট এবং মিশর ও তিউিনশিয়ায় অস্থিতিশীলতা রোধ করতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেইটস আজ টেলিভিশানের কয়েকটি টক শোতে , লিবিয়ায় বিমান উড়ান নিষিদ্ধ আকাশ সীমা বাস্তবায়নে নের্তৃত্ব দিতে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।
সমালোচক এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা বলেছেন যে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ হয়নি।
কিন্তু ক্লিন্টন এবং গেইটস উভয়ই জোর দিয়ে বলেছেন যে জোটের এই ব্যবস্থা গ্রহণে লিবীয় নেতা মোয়ামআর গাদ্দাফির বিরোধীদের হত্যা কান্ড বন্ধ করা গেছে। তারা মনে করিয়ে দেন যে গাদ্দাফি বাড়ি তে বাড়িতে গিয়ে এর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন।
ভয়েস অফ আমেরিকা