প্রধান বিরোধী দল বিএনপি জানিয়েছে, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন করা উচিত৷ আর শাসক দল আওয়ামী লীগের শরিকরাও মনে করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগে সবার মতামত নেয়া প্রয়োজন৷
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করলে বিএনপি মেনে নেবে না। এছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেও ভালো ফল পাওয়া যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সরকার বলছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হবে৷ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে৷ আর এরপর থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের সদস্য সংখ্যা হবে পাঁচজন৷ নতুন যাঁরা নিয়োগ পাবেন, তাঁদের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা৷ প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার ঢাকায় আজ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সরকার নিজের খেয়াল খুশি মত নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করলে চলবে না৷ সব দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে, অর্থাৎ ঐক্যমতের ভিত্তিতে তা করতে হবে৷
মহাজোট সরকারের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে না৷ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে৷ তাই সরকারের উচিত হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেয়া৷ নয়তো পরিস্থিতি নেতিবাচক হতে পারে৷ মহাজোটের আরেক শরিক জাসদের হাসানুল হক ইনু বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিরোধী দলেরও মতামত নেয়া উচিত৷ আর ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন বলেন, সরকার আলোচনা না করে কমিশনে কাউকে নিয়োগ দিলে হয়তো সবাইকে তা মেনে নিতে হবে৷ কিন্তু তা শুভ হবেনা৷
জানা গেছে, সরকার এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন দু’জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে পাঁচজনের কোটা পূরণ করতে পারে৷ পরে মেয়াদ শেষ হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং দু’জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হবে৷ আর তার জন্য সার্চ কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে বলে প্রকাশ৷