সংসদ সদস্যদের কর্মকাণ্ড নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা যাচাই করে দেখতে একটি সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ক্ষমতাবলে অবিলম্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

টিআইবির প্রতিবেদনকে ‘স্থূ’ল, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কল্পনাপ্রসূত’ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, সংসদীয় কমিটি টিআইবির কাছ থেকে তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। আগামী সংসদ অধিবেশনে ওই প্রতিবেদনের ওপর আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।

দেশের অর্ধেক সংসদীয় আসনের সদস্যদের ওপর ‘গবেষণা’ চালিয়ে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গত রোববার এক প্রতিবেদনে বলে, সংসদ সদস্যদের ৯৭ শতাংশই বিভিন্ন ‘নেতিবাচক কার্যক্রমে’ জড়িত।

টিআইবির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, অনির্বাচিতদের ক্ষমতায় আনার পথ তৈরিতে এই প্রতিবেদনের যোগসাজশ থাকতে পারে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বলেছে, ওই প্রতিবেদন সরকারি দলের জন্য প্রযোজ্য।

টিআইবির প্রতিবেদনের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, “যে কোনো অপরাধের তদন্ত প্রতিবেদন নিবিড়, বিশ্লেষণধর্মী তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা উচিত। বলতে বাধ্য হচ্ছি, টিআইবির রিপোর্টে তা হয়নি।”

কিছু মানুষের কথা শুনে সব জনপ্রতিনিধিকে একযোগে দোষী সাব্যস্ত করা দায়িত্বশীলতার পরিচয় হতে পারে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সুরঞ্জিত বলেন, “রিপোর্টটি গ্রহণ বা বর্জন নয়, বরং এ বিষয়ে যথাযথ স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সংসদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।”

সাবেক স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল স্মরণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।