তিন বছর পর সরকারবিরোধী রোডমার্চ নিয়ে ১০ অক্টোবর সিলেটে আসছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরদিন নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।

রোডমার্চ ও মহাসমাবেশ সফল করতে প্রতিদিনই নগরী এবং বিভাগজুড়ে বিএনপি, এর অঙ্গ সংগঠন ও চারদলীয় জোটের অন্যান্য শরিক দল সভা-সমাবেশ এবং প্রচার চালাচ্ছে। এতকিছুর পরও মহাসমাবেশ ঘিরে সিলেট বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। ইলিয়াসবিরোধীরা নিজেদের অবস্থান থেকে কর্মসূচি সফলে আলাদাভাবে সভা-সমাবেশ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধ নিরসন না হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশ।

 কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত রোডমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল শুক্রবার সিলেট সফর করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ইলিয়াসবিরোধী বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন সদস্য মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী,

সাবেক মহানগর সভাপতি আরিফুল হক চৌধুরী ও আবুল কাহের অনুসারীদের নিয়ে ড. মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে নগরীর একটি হোটেলে দেখা করতে গেলে ইলিয়াস অনুসারীদের কোপানলে পড়তে হয় তাদের। ফলে বিবদমান সিলেট বিএনপিতে রোডমার্চকে সামনে রেখে যে ঐক্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তা শেষ পর্যন্ত সফল হলো না। তবে ইলিয়াস অনুসারীরা দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে খন্দকার মোশাররফ হোসেন যে হোটেলে অবস্থান করেন, সেখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা সিলেট বিএনপিতে কোনো কোন্দল নেই দাবি করে বলেন, ইলিয়াস আলীর নেতৃত্বে সিলেট বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।