হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে প্রার্থীরা নিজেদের সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন, অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন বা স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন। সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীর ছড়াছড়ি দেখে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বিভিন্ন তথ্য মতে, করিমগঞ্জ পৌরসভার কার্যক্রম ২০০৩ সালে শুরু হলেও এটি ১ম নির্বাচন। ৭ দশমিক ৮৫ বর্গকিলোমিটার পৌরসভার লোকসংখ্যা ৪০ হাজার ৪৩২ জন। ভোটার আছেন ১৬ হাজার ৭০৩ জন। প্রথম নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থীদের মধ্যে ভোট নিয়ে বাড়তি আগ্রহ ও উত্তেজনা লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে অনেকে হতাশ। যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীর অভাব থাকায় তাঁরা কাকে ভোট দেবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন নিয়েছেন আটজন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে যে ৫ জন কাউন্সিলর নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সবাই সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। ১ জন প্রার্থীও বিদ্যালয়ে যাননি। প্রার্থীদের তালিকা দেখে বেশ কিছু ভোটার হতাশা প্রকাশ করে জানান, প্রার্থী ভালো হয়নি। তাই ভোট দিতে যাবেন কি না ভাবছেন। করিমগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে এত প্রার্থী দাঁড়ানোর কারণ কী, এমন প্রশ্নের জবাবে পৌর এলাকার বাসিন্দা আবদুল আজিজ বলেন, মেয়র ও কাউন্সিলর পদটিকে অনেকে লাভজনক পদ বা পেশা মনে করেন। মেয়র বা কাউন্সিলর হতে পারলে আর্থিক ও সামাজিক লাভের ব্যাপার আছে। তাই অর্থ ব্যয় করতে দ্বিধা করেন না তাঁরা।