১১.১১.১১ তে অভিমান করে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ১০ দিন পর সারিকাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনলেন তার বয়ফ্রেন্ড নিরব। ২১ নভেম্বর সোমবার গভীর রাতে কক্সবাজার থেকে এই মিডিয়া জুটি ঢাকায় ফিরেছেন বলে তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।রহস্যজনকভাবে নিজেকে আড়াল করে রাখার কারণে সারিকাকে ঘিরে ডালপালা মেলে হরেকরকম গুঞ্জন। কোনটা সত্য-কোনটা মিথ্যে, কিছুই বোঝা যায় না। সব মিলিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি।
যদিও সারিকার মা শুরুতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দুই ঈদে একটানা কাজ করে ক্লান্ত সারিকা উত্তরায় তার খালায় বাসায় বিশ্রামে আছে।আত্মগোপনের ১০ দিন পর প্রেমিকার মান ভাঙিয়ে নিরব তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনেছেন। এটি নিরব নিশ্চিত করলেও সারিকার অভিমান করে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং আত্মগোপন করা প্রসঙ্গে পরিস্কার করে কিছু বলেন নি। কক্সবাজারের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, সারিকাকে ফিরিয়ে আনতে কয়েকদিন ধরে কক্সবাজার অবস্থান করছিলেন সারিকার মাসহ তার পরিবারের কয়েকজন। একাধিকবার হোটেল পরিবর্তন করে সারিকা তাদের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টাও করে। শেষপর্যন্ত কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে প্রশাসনের সহায়তায় সারিকার সঙ্গে গত শনিবার দেখা করেন তার মা ও পরিবার।সারিকা এ সময় মাহফুজ ইসলামের স্ত্রী সোনিয়া ইসলাম পরিচয়ে হোটেলটিতে অবস্থান করছিলেন। তার সঙ্গে ছিল মাহফুজ ইসলাম নামের এক তরুণ। কিন্তু সারিকা তার মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ঢাকায় ফিরতে অস্বীকৃতি জানান। সারিকার ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে তার মা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সূত্রটি আরো জানায়, মেয়েকে ফিরিয়ে নিতে মা ব্যর্থ হবার পর ঢাকা থেকে কক্সবাজার ছুটে আসেন নিরব। গত রোববার সারিকার সঙ্গে তিনি দেখা করেন। তারপর শুরু হয় সারিকা মান ভাঙানোর চেষ্টা। অধ্যবসায়ী নিরব শেষপর্যন্ত এ বিষয়ে সাফল্যের দেখা পান। সোমবার রাতে সারিকাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনেন নিরব। কক্সবাজারে সারিকার সঙ্গের মাহফুজ ইসলাম নামের সেই সুদর্শন তরুণটির শেষখবর অবশ্য জানা যায় নি। তবে অবসান হয়েছে সারিকার আত্মগোপন নাটকের।