জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ যে পুলিশ ও বহিরাগতরা তাদের মারধোর করেছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ছাত্রদের দাবির সঙ্গে তিনি একমত৷ তবে যারা ভাঙচুর করছে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সহযোগী৷
আজ নিয়ে দু’দিন রাস্তায় নেমে এসেছে পুরনো ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷ তারা সড়ক অবরোধ এবং যানবাহন ভাঙচুর করে৷ এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ পুলিশ ১৮ জন ছাত্রকে আটক করে৷ ছাত্ররা অভিযোগ করে যে, পুলিশ তাদের মারপিট করেছে৷ পুলিশের সঙ্গে বহিরাগতরাও যোগ দেয় বলে জানায় তারা৷ অন্যদিকে, পুলিশের ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, সড়ক অবরোধ করায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং রাজধানী জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়৷ তাই সে কারণেই তারা ছাত্রদের সড়ক থেকে উঠিয়ে দেন৷ ছাত্রদের দাবি, সরকারি বরাদ্দ প্রত্যাহার করা যাবেনা৷ তারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও, তাদের কাছ থেকে এখন বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয়ের মতো ‘টিউশন ফি’ আদায় করা হচ্ছে৷
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মেসবাহ উদ্দিন বলেন, তিনি নিজেও সরকারি বরাদ্দ প্রত্যাহারের বিপক্ষে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে বিষয়টি তাঁর কাছে তুলে ধরা হবে৷ কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দাবি আদায়ের নামে যারা ধ্বংসাত্মক কাজ করছে – তারা যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সহযোগী৷
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রবিবারও সরকারি বরাদ্দ বহাল রাখার দাবিতে, ঢাকার প্রেসক্লাব এলাকায় সড়ক অবরোধ এবং গাড়ি ভাঙচুর করে৷ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বরাদ্দ বহাল রাখার ব্যাপারে তিনিও নীতিগভাবে একমত৷ তবে তার জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন৷ আর বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য প্রয়োজন সময়৷ ভাঙচুর করে এ সমস্যার সমাধান হবে না৷
উল্লেখ্য জগন্নাথ, নজরুল ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও, আইনে আছে এই ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নির্দিষ্ট সময় পর নিজস্ব আয়ে চলতে হবে৷ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সেই সময় ছিল ৫ বছর৷ যা চলতি বছরে শেষ হয়েছে৷ ফলে সরকারি বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে৷ ২০০৬ সালে স্থাপিত নজরুল ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই সময় ১০ বছর৷ তবে এই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের পক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে চলা সম্ভব নয়৷